আমেরিকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অক্সফোর্ড হাইস্কুলের কাছে ট্রিপল গুলি, আহত একজনের মৃত্যু ম্যাডিসন হাইটসে এক ব্যক্তির সন্দেহজনক মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে পুলিশ ফ্রাঙ্কেনমুথের বাভারিয়ান ব্লাস্ট ওয়াটারপার্কের উদ্বোধন বিলম্বিত রবার্ট ক্র্যামার ডেট্রয়েট পাবলিক বাস সিস্টেমের চতুর্থ পরিচালক  উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতকের সংখ্যা হ্রাস মিশিগানে কর্মশক্তিতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে শুভ বড়দিন আজ মিশিগানের উত্তরাঞ্চলে স্নোমোবাইল বিধ্বস্ত হয়ে ইলিনয়ের বাসিন্দা নিহত  বড়দিনের প্রাক্কালে অক্সফোর্ডে গোলাগুলি, আহত ৩ : সন্দেহভাজন হেফাজতে ডেট্রয়েটের পূর্বাঞ্চলে বন্দুকধারীর গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত গ্র্যান্ড ট্র্যাভার্স কাউন্টি কমিশনারকে পতিতাবৃত্তির জন্য ৫ দিন জেল  ক্রিসমাসের প্রাক্কালে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে ডেট্রয়েট মেট্রো বিমানবন্দর ওয়ারেন গ্যাস স্টেশনে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই সন্তানের বাবা নিহত ৩ জনকে ক্ষমা ও ৫ জনের সাজা কমালেন মিশিগানের গভর্নর  ওয়ারেন পুলিশ অফিসারকে কামড়ানোর অভিযোগ উঠল নারী চালকের বিরুদ্ধে রেমিট্যান্সের জোয়ারে দেড় মাস পর রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি, মন্তব্য নেই ভারতের ওয়ারেনের ফিটজেরাল্ড স্কুলের সুপার ও ফুড সার্ভিসেস ডিরেক্টর গ্রেপ্তার গ্যাস স্টেশনে ডাকাতি, সন্দেহভাজনকে খুঁজছে উইক্সম পুলিশ ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানে বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের মামলা ক্রিসমাসকে ঘিরে বর্ণিল সাজে মিশিগান

ধর্ম-বর্ণ-মতের ঊর্ধ্বে আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য : ড. ইউনূস

  • আপলোড সময় : ০৫-১২-২০২৪ ০১:১৭:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১২-২০২৪ ০১:১৭:১৩ অপরাহ্ন
ধর্ম-বর্ণ-মতের ঊর্ধ্বে আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য : ড. ইউনূস
ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর (ঢাকা পোস্ট) : ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি- আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সবার সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। যেটা নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার হওয়া যায়। 
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে। সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। তথ্যের মধ্যে বিশাল ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নেই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়?
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানা প্রয়োজন। প্রকৃত তথ্যের ক্ষেত্রে অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কারণ কর্তা যা চায়, তারা সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চায় না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই হোক, দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো, এগুলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি তা দেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো বাধা নেই। তথ্যপ্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব। যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম, তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। 
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে তথ্য সংগ্রহ করব? যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
লন্ডনে কানেক্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন

লন্ডনে কানেক্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন